সাবেক যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকানোর প্রচেষ্টাকে ‘উন্মত্ত যুদ্ধ’ বলেও অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের সবশেষ সমালোচনায় ট্রাম্প বলেন, ‘আব্রামস এম-১ ট্যাংক পাঠানো একটি উস্কানি যা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’ নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রথমে ট্যাংক, তারপর পারমাণবিক বোমা। এই উন্মত্ত যুদ্ধ এখনই শেষ হোক। এটা করা খুবই সহজ।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবেলায় ট্যাংকের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার আবেদন করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এই পার্থক্যগুলো সমাধানের জন্য কয়েক সপ্তাহের প্রচেষ্টার পর অবশেষে ইউক্রেনের অনুরোধে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে। জার্মানি ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা ইউক্রেনকে ৩১টি অ্যাব্রাম ট্যাংক দেবে। এদিকে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানান, এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি স্পষ্ট উস্কানি হিসেবে দেখা হবে। এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সতর্ক করে বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছিলেন, ‘কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রসহ রাশিয়ার সমস্ত ধরণের অস্ত্র এই জাতীয় সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে।’